হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে নির্মূলের নামে গাজায় অব্যাহত বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা। ইসরায়েলি হামলায় অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয়েছে ভূখণ্ডটির নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস।
গত এক বছরে বহু নেতা, কমান্ডার হারিয়েছে সংগঠনটি। এমনকি হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকেও হত্যা করেছে ইসরায়েল। তারপরও মনোবল হারায়নি সংগঠনটি।
ধ্বংসস্তূপ থেকে হামাস ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাসনে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীটির নেতা খালেদ মেশাল। এছাড়া হামাস এখনো যোদ্ধা নিয়োগ ও অস্ত্র উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি। গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
খালেদ মেশাল বলেন, ‘ফিলিস্তিনি ইতিহাস চক্রাকার। সংগ্রামের এক এক পর্যায়ে আমাদের অনেকে শহিদ হয়। সেইসাথে সামরিক সক্ষমতাও কিছুটা হারাই। কিন্তু ফিলিস্তিনি চেতনা পৌরাণিক ফিনিক্স পাখির মতো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে। অনেক বছর বেঁচে এ পাখি আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করে। এরপর নিজের ছাই থেকেই আবার নতুন করে জন্ম নেয়।’
খালেদ মেশাল জানান, এই এক বছরে হামাসের অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু হামাস যোদ্ধারা এখনও ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে গুপ্ত হামলা চালাতে সক্ষম বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু হামাস এখনও তরুণদের নিয়োগ দিচ্ছে। এছাড়া গোলাবারুদ ও অস্ত্র উৎপাদনও অব্যাহত রয়েছে। আর যুদ্ধ পরবর্তী গাজার কী হবে সেটা নিয়ে ইসরায়েল কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি। আর এটিই হামাসকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।’
হামাসের এ মন্তব্যের পর মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্লেষকরা বলেছেন, তার সাক্ষাৎকারটি একটি সংকেত হিসাবে ধরা যেতে পারে। এতে মনে হচ্ছে হামাস ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও তাদের লড়াই চালিয়ে যাবে।
১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্বে ছিলেন খালেদ মেশাল। ১৯৯৭ সালে ইসরায়েল তাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করলেও বেঁচে যান। বর্তমানে হামাসের প্রভাবশালী নেতা তিনি।